মিনি স্ট্রোকের চিকিৎসা
মিনি স্ট্রোকের চিকিৎসা : হঠাৎ করে কিছু সময় বা কয়েক মিনিটের জন্য চোখে ঝাপসা দেখা, হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া, কথা না বলতে পারা ইত্যাদি এরকম অবস্থা দেখা দিলে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ট্রানসিয়েন্ট ইসকেমিক বা মিনি স্ট্রোক বলা হয়। তাই এই পোস্টে মিনি স্ট্রোকের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো:
মিনি স্ট্রোক কী
স্ট্রোক রোগটির নাম শুনলে হার্ট অ্যাটাক এর কথা মনে হয়,কিন্তু স্ট্রোক একটি মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের কোনো স্থানের রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলে বা ব্লক হলে ঐ স্থানের রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, এ কারনে মস্তিষ্কের ঐ বিশেষ এলাকা কাজ করতে পারে না। মস্তিষ্কের ঐ এলাকাটি শরীরের যে যে অংশকে নিয়ন্ত্রণ করতো স্ট্রোক হলে সে সকল অংশের বিভিন্ন অঙ্গ অচল হয়ে পড়ে। এক দিকে নষ্ট হলে অন্যদিকে অচল হয়ে পড়ে। যেমন মস্তিষ্কের ডান দিকে ক্ষতি হলে, বাম দিক অচল বা অবশ হয়ে যায়।
মিনি স্ট্রোক হওয়ার কারন
ডাক্তারেরা বলেন, মিনি স্ট্রোকের এমন ঘটনা যে কারো সঙ্গে ঘটতে পারে। যে কোনও বয়সে মিনি স্ট্রোক হতে পারে। মিনি স্ট্রোক বাড়তে থাকার কারন,
◑অতিরিক্ত পরিশ্রম,
◑উদ্বেগ, স্ট্রেস বাড়তে থাকা,
◑অনিয়মিত জীবনযাত্রা,
◑অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস এর কারন হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা
কী কী নক্ষণ দেখলে বুঝবেন মিনি স্ট্রোক হয়েছে
স্ট্রোক হয় যেমন ধমনীতে চর্বি বা ক্যালসিয়াম জমা, টিউমার হওয়া, ধমনীর প্রবাহ জনীত রোগ ইত্যাদী। আরও যে যে নক্ষণ দেখলে বুঝবেন মিনি স্ট্রোক হয়েছে তা নিম্নে দেওয়া হলো:
☞ হঠাৎ চোখে অন্ধকার দেখা।
☞মাথা ব্যাথা হওয়া।
☞বনি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
☞ চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হবে।
☞ কোনো এক পাশের হাত অবশ পা অচল হয়ে যাওয়া।
☞ মুখের একদিক বেঁকে যেতে পারে।
☞বোধহীন, বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়া।
☞কথা জরিয়ে আসা, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি দেখা দেয়।
☞চিন্তাভাবনা গুলিয়ে যাবে।
☞বড় ধরনের স্ট্রোক হলে দুই হাত দুই পা সবই অবশ অথবা অচল হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ হাপানি প্রতিরোধের উপায়?
মিনি স্ট্রোকের চিকিৎসা
স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য রোগীকে মস্তিষ্কের (CT SCAN) করাতে হবে। এ দ্বারা বোঝা যায় কোথায় ক্ষতি হয়েছে। এছারা মস্তিষ্কের ( Angiogram) করে ও বোঝা যেতে পারে। অনেক সময় কারন বের করার জন্য (Echocardiogram) করা লাগে।
আরও পড়ুনঃ মাজা ব্যাথা হলে করণীয়?
এই রোগের সুনির্দিষ্ট এমন কোন চিকিৎসা নাই যাতে রোগী সাথে সাথে চিরতরে ভালো হয়ে যাবে। ধৈর্য ধরে রোগীর সেবা করতে হবে। সঠিক পুষ্টি এবং তরল সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, ঝুঁকি আছে এমন
<>
রোগগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারপর সব চেয়ে যেটা বেশি প্রয়োজন তা হলো ফিজিওথেরাপি (Physiotherapy) ।
আরও পড়ুনঃ সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়
আরও পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে?