Popunder হাপানি প্রতিরোধের উপায়?

হাপানি প্রতিরোধের উপায়?

 হাপানি প্রতিরোধের উপায়?

হাপানি প্রতিরোধের উপায়?


হাপানি কী

হাপানি প্রতিরোধের উপায়: হাপানি হলো  আমাদের খুবই বিষয়নে  বর্তমানে  এযুগে খুবই ক্রমো  বর্তমান একটা রোগ। বিশ্বব্যাপি এই রোগের প্রকোপ বেরে যাচ্ছে। এবং  বাংলাদেশে খুবই  বাড়ছে।  হাপানি একটি  দীর্ঘমেয়াদী রোগ। এর মূল লক্ষন হল শ্বাসকষ্ট এবং নিঃশ্বাস ফেলতে কক্ট হওয়া। হাপানি আক্রমণের সময় শ্বাসনালী  আস্তরণ ফুলে যায়,যার ফলে শ্বাসনালী সংকীর্ন হয়ে যায় যে প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাসে শ্বাসবায়ুর গতি অনেকটা কমে যায়। হাপানি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে,এবং দীর্ঘদিন  হাপানি ঔষধ ব্যবহার করলে পাশ্ব প্রতিক্রিয়া  দেখা দিতে পারে।  একটু অসচেতনতায় ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।তাই আমাদের এই ওয়েবসাইটে হাপানি কেন ওঠে, এবং এর লক্ষণ, হাপানি প্রতিরোধের উপায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের সামনে ধুলে ধরা হলো :

হাপানি রোগ হওয়ার কারন

হাপানির কারন এখনো জানা যায়নি। তবে, নিদিষ্ট কতগুলো ঝুকির কারণ হাপানির সাথে সংযুক্ত। যেমন, 

✪ধূলাবালি,  পশুর লোম, আরশোলা, ফুলের রেনু,এবং ঘাস থেকে ও এলার্জি হতে পারে।

✪সিগারেটের ধোঁয়া, বায়ু দূষণ, কাজের জায়গায়  রাসায়নিক বা ধূলোবালি এবং স্প্রে, অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ। এবং খাদ্য পানীয়ে সালফাইটের প্রভাব। 

✪ভাইরাসঘটিত শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত  সংক্রমণ যেমন, ঠাণ্ডা লাগা ব্যায়াম সহ শারীরিক  কাজকর্ম শৈশবে বায়ুবাহিত অ্যালার্জি ইত্যাদি কারনে।

✪অ্যালার্জি বৃদ্ধির বংশগত প্রবনতা, যাকে অ্যাটোপি বলা হয়। বাবা-মায়ের হাপানি রোগ থাকলে বংশগত ধারায় হতে পারে।

হাপানি রোগের লক্ষন চেনার উপায় 

হাপানি প্রতিরোধের উপায়?


১.শ্বাসকষ্ট হওয়া, ফুসফুসের কোন ইনফেকশন, পোষা প্রানী, ফুলের রেনু,ধূলা, সিগারেট বা গাড়ির ধোঁয়া যে কোনো কিছু হতে শ্বাসকষ্ট কারন হতে পারে।

২.ঘন ঘন সাসা শব্দে  নিঃশ্বাস ফেলা।

৩. ঘনঘন কাশি এবং বুকে টান ধরা,

৪.কাশির ফলে ফুসফুস থেকে থুতু  উৎপন্ন  হতে পারে।

রোগ নির্ণয় 

এলার্জি  সম্পর্কিত  তথ্য,  হাপানি  কিংবা অন্য কোন রোগ সম্পর্কীয় তথ্য  সহ চিকিৎসার নথি এবং উতিহাস যদি কারোর বুকজ্বালা করে, মুখ টক হয়ে থাকে, তাহলে তা গ্যাস্ট্রো এসোফেগাল রিফ্লেক্স  ডিজিজ এর লক্ষণহতে পারে। এবং যদি ঠান্ডা লাগে বা সর্দি-জ্বর হয়, এবং যদি কেউ ধূমপান করে, অথবা ধূমপানরত কারোর কাছে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? 


শারীরিক পরিক্ষা-নিরীক্ষা 

হাপানি প্রতিরোধের উপায়?


কফ-কাশি সম্পর্কিত কোন সমস্যা লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার  স্টেথোস্কোপ দিয়ে ডাক্তার আপনার ফুসফুসের শব্দ শুনবেন এবং যদী সাসা শব্দে নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ (শ্বাস ফেলার সময় বাঁশি বাজার মতো  বা চি চি শব্দ) অথবা অন্য কোন অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পায় তাহলে হাঁপানির সম্বভনা থাকে। এজন্য অন্যান্য পরিক্ষা করতে হয়,যেমন, 

 বুকের এক্স-রে: বুকের এক্স-রে ফুসফুস ও হৃদপিন্ডের ছবি নেয়। এই এক্স-রে করার ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার নির্ণয় করতে সাহায্য করে। 

আরও পড়ুনঃ সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়

ফুসফুসের কার্যকারিতার পরিক্ষা

ফুসফুসের কার্যকারিতা পরিক্ষা করতে কতটুকু পরিমান শ্বাসবায়ু আপনি নেন এবং ছেড়ে দেন। কত দ্রুত আপনি শ্বাস ছাড়েন  এবং কতটা ভালোভাবে আপনার ফুসফুস রক্তের মধ্যে অক্সিজেন  প্রদান করে। ফুসফুসের কার্যকারিতা পরিক্ষা হাঁপানি রোগ নির্ণয় করতে এবং সম্পর্কিত কারন সন্ধানে  যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। সাইনাসের এক্স-রে  সংক্রমণ  নির্ণয় করতে এটির প্রয়োজন। 

ঔষধ প্রয়োগ 



হাপানির ঔষধ সাধারণত ইনহেলারের মধ্যে দীয়ে দেওয়া হয়। প্রতিষেধক বা আরোগ্য -সহায়ক হিসাবে ইনহেলার ব্যবহৃত হয়। হাপানির ক্ষেত্রে প্রশ্বাসের  মধ্যে দিয়ে ঔষধ  গ্রহণ অনেক কার্যকারি, যেহেতু এটা সরাসরি  ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছায় ও খুব সামান্যই শরীরের অন্যত্র গিয়ে মেশে।

ইনহেলারের মধ্যে স্বল্প কার্যকরী বিটা ২ অ্যাগোনিস্ট থাকে। এটি শ্বাসপথ ঘিরে থাকা  পেশিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। হাপানির উপশমের অষুধের মধ্যে পড়ে  সালবুটামোল ও টারবুটালিন জাতীয়  ঔষধ। এটি ব্যাথা ওশ্বাসটান কমাতে সাহায্য করে ।  ইনহেলারের মধ্যে পড়ে বেকলোমেটাসোন, বিউডাসোনাইড, ফ্লুটিকাসোন ও মোমেটাসোন ঔষধ। 

আরও পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে?

হাপানি প্রতিরোধের উপায়?


ঝুঁকি এরানোর উপায় 

শ্বাসকষ্ট যেন বার বার না হয় সেজন্য রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খেতে হবে। ফুসফুসের ইনফেকশন না সারলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তার স্টেরয়েড ঔষধ দিতে পারেন সেটা সঠিক নিয়ম মতো খেতে হবে।  এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া যাবে না। যেসব কারনে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন,কারও ধূলায় অ্যালার্জি থাকলে বাহিরে যাওয়ার আগে মুখে  মাক্স পরতে হবে এবং মুখ ডেকে রাখতে হবে যেন নিংশ্বাসের সাথে  ধূলা বালি শ্বাসনালীতে না ঢুকে। এটি একটি বড় সমস্যা যার  সময়মত চিকিৎসা না হলে রোগীর   মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমাদের সকলকে এইসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। এবং নতুন কিছু আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ,

আরও পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা এবং  অপকারিতা? 

আরও পড়ুনঃ শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায়?








Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম