Popunder চোখের এলার্জি হলে করণীয়?

চোখের এলার্জি হলে করণীয়?

  

চোখের এলার্জি হলে করণীয়?

চোখের এলার্জি হলে করনীয় : এলার্জি  কথাটির সাথে কমবেশি সবাই আমরা পরিচিত। এই এলার্জি যার শরীরে আছে, সে বুজে এলার্জির জ্বালা কেমন। তাই আমরা এই পোস্টে চোখের এলার্জি হওয়ার কারন,  এর   নক্ষণ, এবং চোখের এলার্জি চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।

এলার্জি  কী

এলার্জি হলো: আমাদের চারদিকে পরিবেশে প্রচুর ক্ষুদ্র দৃশ্যমান  এবং অদৃশ্য বস্তুকনা অথবা পদার্থের  অস্তিত্ব রয়েছে যা সরাসরি শরীরের  সংস্পর্শে এসে এলার্জি সৃষ্টি করে।  এবং শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তুকনা শরীরে ঢুকে এলার্জি সৃষ্টি করে। যেমন: ফুলের রেন, পোষা প্রাণীর লোম,  ধূলাবালি, ত্বকের খসে পড়া অংশ, এবং অ্যানিমেল ডেন্ডার, খুশকি, কসমেটিক  বা পারফিউম জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য দেহের সংস্পর্শে আসে এবং কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজাত আমিষকনা ইত্যাদি দেহে প্রবেশ করে এলার্জি সৃষ্টি করার অন্যতম কারন। 

এলার্জির লক্ষণ

চোখ  চুলকানো, চোখ দিয়ে পানি পড়া।

চোখ লাল হওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া।

চোখের বিতরে কিছু ময়লা পড়েছে এমন বোধ হওয়া।

রোদে চোখ বন্ধ হয়ে আসা।

রাতে ঘুমের পর সকানবেলা চোখে সামান্য পিচুটি  জমতে পারে।

নাকে সর্দি ও চুলকানি একসাথে হতে পারে।  

আরও পড়ুনঃ মিনি স্ট্রোকের চিকিৎসা

এলার্জি প্রতিরোধে করনীয় 

➤আগে রোগীকে জানত হবে তার  কোন ধরনের পদার্থ বা পরিবেশে এলার্জি আছে, তারপর সেটাকে এরিয়ে চলতে হবে।

➤গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ,  ডিম ইত্যাদি যাদের এলার্জি আাছে তাদের এগুলো বর্জন করা উচিত।

➤শুষ্ক মৌসমে ধূলাবালি থেকে রক্ষা পেতে নাকে মুখে মাক্স পড়া যেতে পারে। 

➤এবং চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে 

➤ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন এবং চোখের ড্রপ ব্যবহারের মাধ্যমে চোখের এলার্জি হতে রক্ষা পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুনঃ আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা

চোখের এলার্জির চিকিৎসা 

চোখের এলার্জি হলে করণীয়?

সোডিয়ামক্রোমোগ্লাইকেট আইড্রপ এলার্জি কনজাংটিভাইটিস এ কার্যকর  যা দৈনিক ৩/৪ বার অনেক ূিন ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্যবহারের  মাধ্যমে এলার্জি  বারবার সংক্রমণ  রোধ করা যায়।

কৃত্রিম চোখের পানি বা চোখের ড্রপ  হিসেবে পাওয়া যায় যা চোখের  ভেতর অবস্থানরত এলার্জেনকে দ্রবীভূত করে এবং পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলে।

ডিকনজেসটেন্ট আইড্রপ যেমন ন্যাফাজলওন হাইড্রোক্লোরাইড  এলার্জিক কনজাংটিভাইটিসে অনেকাংশে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এছাড়া লডঙ্মোইড, অলোপেটাডিন, পেমিরোলাস্ট ইত্যাদি আইড্রপ অনেকদিন চোখে ব্যবহারেও এলার্জির আক্রমন অনেকটা কমে যায়।

এই রোগের কিটোটিফেন আইড্রপের কার্যকারিতা প্রমানিত হয়েছে যা স্টাফেন, প্রসমা, অ্যালারিড, কিটোমার ইত্যাদি নামে বাজারে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ  হাপানি প্রতিরোধের উপায়?

সাইকলোসপোরিন আইড্রপ  এলার্জিক কনজাংটিভাইটিসের অন্যতম সফল চিকিৎসা হিসেবে প্রমাণিত। 

খুব বেশি চুলকালে তখনই লোগ্রেড স্টেরয়েড যেমন,ক্লরোমিথোলোন আইড্রপ  দৈনিক ৩/৪ বার ১-২ সপ্তাহের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বেশি দিন ব্যবহার করা যাবে না।

ডাক্তরের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ বা চোখের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না।

চিকিৎসা কেন প্রয়োজন 

এটা একটি ক্রনিক রোগ তাই এই রোগের চিকিৎসা না করলে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন, 

চোখের ভিতর গুটি ওঠা,এবং পরবর্তীতে গুটি বড় হয়ে চোখের কালো রাজাতে আলসার  জাতীয় প্রদাহে সৃষ্টি করতে পারে। যা রোগীর জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? 

চোখে সবসময় প্রদাহ থাকার জন্য রোদে চলাফেরা করতে অসুবিধা হবে  এবং লাল চোখ নিয়ে সবসময় একটা বিব্রতকর সময় পার করতে হবে। 

মনে রাখতে হবে  বাচ্চার এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস আছে তাদের সাধারণত ২০ বছর পর আপনা আপনিই এই রোগের আক্রমণ কমে যায়। ডাক্তারের পরামর্শে বাচ্চার চোখের যত্ন এবং ঔষধ ব্যবহারে নিয়মানুবর্তী হলে এলার্জিজনীত কষ্ট লাঘব হয়।




Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম