Popunder আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা

আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা

 আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা

 
আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা

আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা : আগুনে পোড়া  একটি মারাত্মক দূর্ঘটনা। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে  অগ্নি দূর্ঘটনা এরানো সম্ভব। তাই দূর্ঘটনা যদী ঘটে যায়, তাহলে  দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। প্রথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাবে আমাদের দেশে পোড়াজনিত সমস্যার কারনে মৃত্যুর  হার বেশি। একটু সচেতন হলে পোড়াজনিত মৃত্যু থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। তাই আমাদের এই পোস্টে পোড়াজনিত সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো : 

আগুনে পোড়া /পোড়ার মাধ্যম

আগুনে পোড়া রোগীদের সঠিক চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পোড়ার মাধ্যম যেমন আগুনে পোড়া, গরম পানি, গরম তৈল, বিদ্যু, রাসায়নিক পদার্থ, আসিড,ক্ষার, বোমা বিস্ফোরণ, রান্না ঘরে ঢিলাঢালা পোশাক পরা, ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে পোড়াজনীত আঘাত বা র্বান ইনজুরি হতে পারে। আমাদের দেশে রান্না ঘরের দূরঘটনা যেমন গরম পানী,গরম তৈল ইত্যাদিতে পোড়ার ঘটনা বেশি।

পুড়ে গেলে যা হয়

শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে তীব্র ব্যাথা হতে পারে। পুড়ে গেলে পোড়া অংশ যে আকার ধারন করে তা হলো:

☞ত্বক লাল হয়ে যায়

☞ফোসকা পড়া

☞চামড়া উঠে আসা 

☞ফুলে যাওয়া

☞জ্বালাপোড়া হওয়া

☞ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া

আরও পড়ুনঃ হাপানি প্রতিরোধের উপায়?

প্রথমিক চিকিৎসা 

আগুনে পুড়ে গেলে প্রথমিক চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগুনে পুড়ে গেলে যা কারা উচিত তা হলো:

◑আগুনে পোড়া স্থানে ২০ মিনিট ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে।

◑পুড়ে যাওয়া স্থান থেকে কাপর বা গহনা খুলে ফেলতে হবে। 

◑ পোড়া স্থান অংশটি পরিষ্কার কাপর অথবা গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে  রাখতে হবে। 

আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা


◑রোগীকে পরিষ্কার একটি চাদর দিয়ে মুড়িয়ে  শরীরের অনুকূল তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে। ক্ষতস্থানে যেন ঘষা বা চাপ না লাগে।

◑ব্যথার জন্য আইবুপ্রোফেন বা প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে।

◑ চোখ বা মুখ পুড়ে গেলে রোগীকে বসিয়ে রাখতে হবে।এতে কিছুটা  ফোলা কমাতে সাহায্য করে। ল

◑আক্রন্ত ব্যাক্তির জ্ঞান থাকলে পানিতে একটু লবন মিশিয়ে শরবত, স্যালাইন,বা ডাবের পানি অথবা সাধারন পানি পর্যাপ্ত পরিমানে পান করাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায়?

এভাবে প্রথমিক চিকিৎসার শেষে দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। 

পোড়া প্রতিরোধের উপায়

আমাদের বাসা-বাড়িতে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থ গ্রহন করলে পোড়াজনীত এবং দুর্ঘটনা  ঝুকি কমানো যেতে পারে। যেনন:

⇨ভেজা হাতে বিদুৎবাহী পদার্থ না ধরা

⇨বাসার বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাসের লাইন ঠিক আছে কি না সেদিকে নক্ষ রাখা

⇨ঘরে ধূমপান না করা আগুনের অন্যান্য উৎস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 


রান্না ঘরের সর্তকতা 

আগুনে পোড়া প্রাথমিক চিকিৎসা


⇨রান্নার সময় ঢিলাঢালা পোশাক না পড়া। এবং শাড়ি ওরনা কিংবা গামছা পরে থাকলে সেদিকে  খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? Health Tip

⇨গরম বস্তু বা গরম পানি সর্তকতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

⇨রান্নার শেষে অবশ্যই চুলা বন্ধ করতে হবে।

✘যা করা যাবে না✘

১.চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো মলম বা ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না।

২.ফোসকা হলে তা ফুটো করা যাবে না।

৩.পোড়া স্থানে বরফ,তুলা,পেস্ট ইত্যাদি লাগানো যাবে না।

৪.পোড়া স্থানে যেন ঘষা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৫.আগুন লাগলে ছোটাছুটি করা যাবে না।


আরও পড়ুনঃ সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়


আরও পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে?



Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম