শিশুর জ্বর হলে করনীয় এবং দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়
শিশুর জ্বর হলে করনীয় কী আমাদের এই পোস্টে আলোচনার বিষয়বস্ত হলো শিশুদের জ্বর এবং সর্দি কাশি হলে করনীয় কী। শিশুদের শরিরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বুজতে হবে যে কোন রোগ শিশুর শরিরে হতে চলেছে। তাই শিশুর জ্বর হলে করনীয় এবং দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় কী এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
➤পোস্টে যে যে বিষয় জানতে পারবেন -
✔শিশুর জ্বর হলে করনীয় এবং শিশুর জ্বর দ্রুত কমানোর উপায় সম্পর্কে।
✔শিশুর জ্বর হলে কোন খাবার খাওয়ানো উচিত।
✔শিশুর জ্বর হলে কোন ঔষধ খাওয়ানো উচিত ।
✔শিশুর জ্বর না কমলে করনীয় কী
✔শিশুদের ভাইরাস জ্বর এবং ঘন ঘন জ্বর হলে কি করা উচিত
✔শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়- ৭মাসের শিশুর জ্বর হলে করনীয়
✔ সর্বশেষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর জানতে পারবেন।
শরীরের টেম্পারেচার বেড়ে যাওয়ার কারনে জ্বর হতে পারে। আজ আমরা শিশুর জ্বর হলে করনীয় কী এবং দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি ইনশাআল্লাহ।
শিশুর জ্বর হলে যে খাবার খাওয়ানো উচিত
জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে প্রতিদিন খাবারে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।যেমন, তরল পানি, ফলের রস, ডাব, জুস ইত্যাদি বেশি পরিমানে খাওয়াতে হবে। জ্বরে আক্রান্তশি শুদের স্যালাইন খাওয়ানো উচিত। জ্বরে আক্রান্ত শিশুর শরীরকে এনার্জি যুক্ত করতে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জ্বর অবস্থায় কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করে না তবুও টক জাতীয় ফল খাওয়ানো উচিত। পরিচিত কয়েকটি টক ফলের নাম দেওয়া হলো।যেমন ঃ
১. বাতাবি লেবু, ২. কামরাঙ্গা, ৩. জলপাই ইত্যাদি।
জ্বর হলে খাবার খাওয়ানোর পর বমি হতে পারে এজন্য বমি হওয়ার ভয়ে খাবার খাওয়ানো বাদ দেওয়া যাবে না। বমি হলে জ্বর অনেক কমে যায়। এজন্য খাবার নিয়মিত খাওয়াতে হবে। জ্বর হওয়ার কারন হলো শরীরে ভিটামিনের অভাব এজন্য জ্বরে সময় বেশি করে ফল খেতে হবে।
শিশুর জ্বর হলে যে ঔষধ খাওয়ানো উচিত
শিশু যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে খাবারের সাথে খাবার স্যালাইন খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি। শিশুর শরিরে জ্বর এবং ব্যাথা থাকলে প্যারাসিটামল, পাইরিনল,নাপা এইচ প্লাস বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে জ্বর ও শরীর ব্যাথা কমানোর জন্য।শিশু জ্বরে মাত্রা যদি ১০২° ফারেনহাইট চলে যায় তাহলে মলদার দিয়ে প্যারাসিটামল সাপোজিটার ব্যবহার করতে পারেন। প্যারাসিটামল সাপোজিটার খুব দ্রুত জ্বর কমিয়ে দেয়।তবে স্বাভাবিক জ্বর থাকলে সাপোজিটার ব্যবহার করা উচিত নয়।
শিশুর জ্বর না কমলে যা করনীয়
জ্বরে আক্রান্ত শিশুর বয়স ৬মাসের কম হলে মায়ের বুকের দুধ বারবার খাবওয়াতে হবে। আর যদি ৬মাসের বেশি হয় তাহলে তরল জাতীয় খাদ্য অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে। এবং শিশুর বুকে কফ জমা থাকলে লেগুনাইজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে নেগুনাইজার হাতের কাছে না থাকলে শিশুকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল দিতে পারেন। এবং গরম পানির মধ্যে কাপর ভিজিয়ে শিশু সম্পুর্ন শরীর মুছে দিতে পারেন। জ্বর এক ধরনের জীবাণু। তাই রোগীর শরীরের ভিতরে ও শরীরের বাহিরে জীবাণু থাকতে পারে। তাই গোসল করানোর সময় বা শরীর মুছে দেওয়ার সময় পানির মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক মিশিয়ে গোসল করানো উচিত।
আরও পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে করনীয় কী?
শিশুদের ভাইরাস জ্বর এবং ঘন ঘন জ্বর হলে কি করা উচিত
জ্বর হলে নিয়মিত খাবার এর ঘাটতি দেওয়া যাবে না আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে খাবার খেতে হবে। জ্বর হলে প্যারাসিটামল, পাইরিনল,নাপা এইচ প্লাস বিভিন্ন ধরনের ঔষাধ খাওয়া যেতে পারে যা জ্বর কমাতে সাহায্য করে। বেশি পরিমানে জ্বর থাকলে সাপোজিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ৭ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করতে হতে পারে। এ সময় শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে। স্কুল যাওয়া এবং খেলাধুলা থেকে বিরত রাখতে হবে। এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন, ডাবের পানি, ফলের রস, স্যালাইন খাওয়াতে হবে। তবে বাহিরের খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন,ড্রিংস বা বোতল জাতীয় সরবত, এতে বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল থাকে যা শিশুর শরিরের ক্ষতি করেতে পারে। তাই এসব খাবার থেকে শিশুদের বিরত রাখুন।
শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়- ৭মাসের শিশুর জ্বর হলে করনীয়
শিশুর ৭ দিনের বেশি সময় ধরে যদি জ্বর থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। রোগ দ্রুত নিরাময় করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে হবে।এতে শরীরের রোগ দ্রুত ভালো হয়ে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এবং পুষ্টিকর খাবার ও ফল খাওয়ানো উচিত। টক জাতীয় খাদ্য জ্বর অবস্থায় খাওয়ানো উচিত কারন, টক জাতীয় খাবারে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের জ্বরের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। তাই জ্বরে সময় টক জাতীয় খাবারের গুরুত্ব অনেক বেশি।
আশা করছি, এই পোস্টে শিশুর জ্বর হলে করনীয় কী এবং দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে পেরেছি। যারা শিশুর জ্বর হলে করনীয় কী এবং দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই পোস্টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। শিশুদের জ্বর হলে করনীয় এবং দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ নর্মাল ডেলিভারি জন্য গর্ভাবস্থায় করনীয় কী?
শিশু বিভিন্ন ধরনের রোগের বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। এবং নতুন কিছু আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর ঃ
✪ শিশুদের জ্বর কত হলে সাপোজিটার দিতে হবে?
☞শিশুর জ্বর ১০২° পার হয়ে ১০৩° হলে।
✪বাচ্চাদের জ্বরে জন্য কোন ঔষধ ভালো?
☞জ্বরের ভালো ঔষধ প্যারাসিটামল।
✪রাতে বার বার কেন জ্বর আসে?
✪জ্বর কত হলে ডোজ দিতে হয়?
⇨থার্মোমটার দিয়ে জ্বর মেপে ১০০বা তার বেশি হলে
✪ জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি না?
⇨জ্বর হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত।
✪শিশুদের জন্য প্যারাসিটামল সাপোজিটারি গননা?
আরও জানতে ডিজিট করুনঃ পেটে গ্যাস হলে করনীয় কী?