Popunder মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? Health Tip

মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? Health Tip

      মাজা ব্যাথা হলে করণীয়?

মাজা ব্যাথা হলে করণীয়: বর্তমানে মাজা  ব্যাথা নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া যায় না। সারা জীবনে মাজা ব্যাথা হয় নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া যায় না। তাই আমাদের এই ওয়েবসাইটে  মাজা ব্যাথা সম্পর্কে আপনাদের সামনে  বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? Health Tip

 মাজা ব্যাথা হলে করণীয় বর্তমানে দেখা যায় সাধারনত  ইয়ান বয়স্কদের মাজা ব্যাথার সমস্যা বেশি হয়। কারন ইয়ান Age গুলো সাধারণত প্রোডাক্টিভ  লাইফ,  জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো ইয়ান বয়সগুলো। এই ব্যাথা হওয়ার কারন হলো ভারি জিনিস তোলা,হঠাৎ পিছলে পরা,খেলাধূলার সময় মাজায় আঘাত  পাওয়া। 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে বয়স্কদের  মাজা ব্যাথা হয়। এর কারন যেমন,বয়স বেশি হওয়ার কারনে তাদের মাজা ব্যথা হয়। বয়স বেশি হওয়ার কারনে তাদের হাড়গুলোর চেইঞ্জ হয়। একারনে মাজা ব্যাথা হয়।একে ডিজানারেটিভ চেইঞ্জ বলে।

এলআইডি-(LID):  মাজা  ব্যথার আর একটি কারন হলো LID এলআইডি।  যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর তাদের এই সমস্যাটি হতে পারে। হাড়ের ভিতর ফাঁকা জায়গা থাকে। এই  ফাকা জায়গার ভিতরে তালের শাঁসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে পূরণ থাকে। এই চাকতি যদি বের হয়ে যায়, তখন স্নায়ুর ওপরে চাপ পরে। এই চাপ পড়ার কারনে মাজা ব্যথা  হতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়?

এম আর আই(MRI):

ড.জিল্লুর রহমান বললেন, এম,আর,আই হলো  MRI করার  কারনে বোঝা যায় ব্যথার ধরনটা কি কারনে হচ্ছে।  কোন কোন ক্ষেত্রে এটাকে আমরা ডিসপ্রডাক্স বলি। মেরুদণ্ডের মাঝ খানে হাড়ের মাংস সরে গিয়ে রগের মধ্যে চাপ পরে। এ কারনে মাজা ব্যথা হয়। 

আরও কিছু সমস্যা দেখা যায় যেমন, শরীরের ওজন বেশি হলে এবং কম হাটাচলা, এক স্থানে এক থেকে দের ঘন্টা বসে থাকলে।এবং কম ঘুমালে ও ব্যয়াম না করার কারনে।

মাজা ব্যাথা হলে করণীয়? Health Tip


 

মাজা ব্যথা পতিরোধের উপায়

মাজা ব্যথা প্রতিরোধের জন্য দরকার সঠিক  দেহভঙ্গি এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের কোন বিকল্প নেই। তাই মাজা ব্যথা রোধ করতে আমাদের যা করা উচিত তা হলো:

☞শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। 

☞প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট জোরে হাটতে হব।

☞১ঘন্টা টানা বসে থাকার পর কমপক্ষে ৩-৪ মিনিট হাটাহাটি করা।

☞টানা এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর কমপক্ষে ৩-৪মিনিট বসা।

আরও পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে?

☞ পরিমিত ঘুমানো এবং প্রতিদিন ব্যয়াম ইত্যাদি নিয়ম মেনে চললেই ব্যথা এড়ানো সম্ভব। 

ড.জিল্লুর রহমান আার ও বললেন, কখনো কোন কারন ও চিকিৎসকের পরামর্শ  ছারা ঔষধ খাওয়া উচিত না। ডাক্তরের পরামর্শ ছাড়া অনেকে ব্যথার ঔষধ খেতে দেখা যায়। এতে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত  হয়ে থাকে। হারের সুস্থতার খাদ্যভ্যাস  পরামর্শ দেন। তিনি বলেন উচ্চতা  অনুয়ায়ী ওজনের ভারসাম্য  থাকতে হবে।  বেশি ওজন হলে ব্যথা হবে। তাই খাদ্যভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  শর্করাজাতীয় খাবার যেমন: ভাত,চিনি, রুটি, আলু ইত্যাদি কম খেতে হবে।

☞মাজার যে জায়গায় ব্যথা সেই জায়গায় তোয়ালে আগুনে গরম করে সেক দিন। এর ফলে মাজা ব্যথা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায়?

☞গুড়া দুধের মেথি বীজের মিশ্রণ তৈরি করে  ব্যথা জায়গায় লাগালে  অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

☞অ্যালোভেরা শরবত প্রতিদিন নিয়মিত খেলে মাজা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। 

☞হলুদ এবং দুধ একসাথে খেলে মাজা ব্যথা অনেকটা কমে যেতে পারে। 

☞লেবুর শরবতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকে। এটা মাজা ব্যথার জন্য উপকারী। 

☞আদাতে প্রচুর পরিমান পটাশিয়াম থাকে।  নিয়মিত আদা খেলে মাজা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। 


স্বাস্থ্য সুরক্ষা  বিষয় বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে   নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ,

আরও পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা এবং  অপকারিতা? 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে চোখের কালো দাগ দূর করবেন?

আরও পড়ুনঃ শিশুর জ্বর হলে করনীয় কী?






Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম